বগুড়ায় ধর্ষণের পর মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে পুড়িয়ে হত্যা
প্রকাশিত: অক্টোবর ১৮, ২০২৩, ০৮:২০ রাত
ছবি সংগৃহীত
বগুড়ার শিবগঞ্জে ধর্ষণের পর শরীরে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টার ৪০ দিন পর দগ্ধ মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ৪০ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর তার মৃত্যু হয়।শিবগঞ্জ থানার ওসি আব্দুর রউফ মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।মারুফা উপজেলার আটমূল ইউনিয়নের নান্দুড়া গ্রামের মাসুদুর রহমানের মেয়ে এবং স্থানীয় নান্দুরা ফাজিল মাদ্রাসার আলিম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
মৃত মারুফার চাচা কামরুজ্জামান জানান, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মঙ্গলবার দুপুরে মারুফার শারীরিক অবস্থা খারাপ হতে থাকে। একপর্যায়ে দুপুর ১টার দিকে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। এরপর রাত ৮টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুনঃ ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা ১২শ’ ছাড়াল
এর আগে গত ৮ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) জুম্মার নামাজের দিন দুপুরে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে তিনজন ওই কিশোরীকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে। পরে হত্যার উদ্দেশে কিশোরীর গায়ে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়।
জানতে পেরে স্থানীয়রা আগুনে দগ্ধ মারুফাকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে তাকে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় গত ৯ সেপ্টেম্বর শিবগঞ্জ থানায় মারুফার বাবা মাসুদুর রহমান বাদী হয়ে ৩ জনকে আসামি করে ধর্ষণ মামলা দায়ের করে।
ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মূল আসামি সাইফুল ইসলামকে (২৮) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মামলার বাকি দুই আসামি রঞ্জু (৪০) ও নাঈম (২৩) এখনো পলাতক।
শিবগঞ্জ থানার ওসি আব্দুর রউফ জানান, রাত ৮টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই কিশোরী মারা গেছে। মরদেহ বগুড়ায় আনার পর ময়নাতদন্ত করা হবে। এ ঘটনায় মূল অভিযুক্ত গ্রেপ্তার হয়েছে। অপর দুজন পলাতক।