ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

টিলা কেটে মাটি বিক্রি করায় ৩ জনকে কারাদণ্ড

তিমির বনিক,মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:

 প্রকাশিত: অক্টোবর ১৬, ২০২৩, ১২:০৭ দুপুর  

ছবি সংগৃহীত

মৌলভীবাজারের বড়লেখায় অবৈধভাবে প্রাকৃতিক টিলা কেটে মাটি বিক্রির দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত ৩ ব্যক্তির ১ জনকে ৩ মাসের ও অপর ২ জনকে ২ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেছে। রোববার বিকেলে তাদেরকে কারাগারে পাঠিয়েছেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জাহাঙ্গীর হোসাইন।

দণ্ডিতরা হলেন, ট্রাক্টর মালিক ময়নুল ইসলাম, ট্রাক্টর চালক নাজমুল ইসলাম ও এমাদ উদ্দিন। এরা সবাই উপজেলার উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের শ্রীধরপুর গ্রামের বাসিন্দা। দীর্ঘদিন ধরে তারা নির্বিচারে পাহাড় টিলা কেটে মাটি বিক্রি করছিল।

আরও পড়ুনঃ কাদের সিদ্দিকীর ‘কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ’-এ যোগ দিলেন নকুল কুমার বিশ্বাস

গত মাসে একই স্থান থেকে অবৈধ টিলা কাটার দায়ে দিনার আহমদ নামে একজন ট্রাক্টর মালিককে ২ লাখ টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এরপরেও টিলা কর্তন বন্ধ করছে না অসাধুরা।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রের বরাতে জানা গেছে, পরিবেশ আইন অমান্য করে রোববার সকাল থেকে শ্রীধরপুর গ্রামের লালমাটি নামক স্থানের একটি প্রাকৃতিক টিলা কেটে অবৈধভাবে ট্রাক্টরে মাটি পরিবহন করছিলেন ট্রাক্টর মালিক ময়নুল ইসলাম, ট্রাক্টর চালক নাজমুল ইসলাম, এমাদ উদ্দিনসহ আরো কয়েকজন টিলাখেকো। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দুপুরে বড়লেখা থানা পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে অভিযান চালান সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জাহাঙ্গীর হোসাইন। অভিযানের টের পেয়ে অন্যরা পালিয়ে গেলেও টিলার মাটি পরিবহনে নিয়োজিত দুইটি ট্রাক্টরসহ ৩ জনকে আটক করে। ট্রাক্টর মালিক ময়নুল ইসলামকে ২ লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড, ট্রাক্টর চালক নাজমুল ইসলাম ও এমাদ উদ্দিনকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে ২ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন। অর্থদণ্ড প্রদানে ব্যর্থ হওয়ায় বিকেলে তাদেরকে কারাগারে পাঠিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জাহাঙ্গীর হোসাইন জানান, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে অবৈধ টিলা কাটার অপরাধে ৩ ব্যক্তির ২ জনকে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে ২ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ১ জনকে ২ লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন। পরিবেশ রক্ষায় ও প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটানো এমন সব বিষয়ে প্রশাসনের এধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।