বান্দরবান জেলার সদর থানাধীন সুয়ালক বাজার এলাকায় অস্থায়ী চেকপোষ্ট স্থাপন করে ১৭ কেজি গাঁজা উদ্ধারসহ দুইজন মাদক কারবারী র্যাব-১৫ কর্তৃক গ্রেফতার
নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: অক্টোবর ১৩, ২০২৩, ১১:২৮ দুপুর
ছবি সংগৃহীত
র্যাব-১৫, কক্সবাজার দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে বদ্ধ পরিকর। মাদক কারবারীরা প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিতে এ্যাডভান্স টিম গঠন’সহ ছদ্মবেশ, যানবাহনে বিশেষ কায়দায় মাদক পরিবহন ও নানাবিধ অভিনব পন্থায় দেশের বিভিন্ন জায়গায় মাদক ছড়িয়ে দিচ্ছে। এতে করে যুব সমাজ মাদকাসক্ত হয়ে বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ছে। দেশব্যাপী মাদকের বিস্তাররোধে র্যাব-১৫ প্রতিনিয়ত মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনাসহ আন্তরিকতার সহিত নিরলসভাবে কাজ করে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-১৫, কক্সবাজার এর আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, একটি মোটর সাইকেল যোগে কতিপয় মাদক কারবারী মাদকদ্রব্য গাঁজাসহ বান্দরবান জেলার সদর থানাধীন সুয়ালক ইউনিয়ন হয়ে বান্দবান পৌরসভা এলাকা হতে চট্টগ্রাম জেলার সাতকানিয়া থানাধীন কেরানীহাট বাজারের দিকে আসছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে ১২ অক্টোবর ২০২৩ তারিখ অনুমান ০৫.৩০ ঘটিকায় র্যাব-১৫, সিপিএসসি’র একটি চৌকস আভিযানিক দল সুয়ালক বাজারের তারেক ষ্টোর এর সামনে বান্দরবান-কেরানীহাট মহাসড়কের উপর অস্থায়ী চেকপোষ্ট চেকপোষ্ট স্থাপন করে তল্লাশী অভিযান শুরু করে। এ সময় একটি মোটর সাইকেলের দুইজন আরোহী দ্রুত গতিতে চেকপোষ্ট অতিক্রমের চেষ্টাকালে দুই মাদক কারবারী’কে র্যাব গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় এবং মাদকদ্রব্য বহনের কাজে ব্যবহৃত উক্ত Hero Glamour১২৫ সিসি মোটর সাইকেল’টি (যার রেজি নং: চট্ট মেট্টো-হ-১৮-১৬৫৪) জব্দ করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত ব্যক্তিদ্বয় তাদের সাথে থাকা প্লাস্টিকের বস্তার ভিতর গাঁজা মজুদ রয়েছে মর্মে জানায়। অতঃপর উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত ব্যক্তিদ্বয়ের দেহ ও প্লাস্টিকের বস্তা তল্লাশী করে সর্বমোট ১৭ (সতের) কেজি গাঁজা, ০২টি মোবাইল ফোন ও ০৪টি সীম কার্ড উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারীদ্বয়ের বিস্তারিত পরিচয় ১। নূর মোহাম্মদ মিয়া (২৮), পিতা-শামসু মিয়া, মাতা-মসুদা খাতুন, সাং-ছৈয়দাবাদ, ০৫নং ওয়ার্ড, ইউনিয়ন-ছদাহা এবং ২। মোঃ ইলিয়াস (৩০) (ড্রাইভার), পিতা-মৃত রফিক উদ্দিন, মাতা-হাবিবা বেগম, সাং-পুরানগড়, ০৫নং ওয়ার্ড, ইউনিয়ন-পুরানগড়, উভয় থানা-সাতকানিয়া, জেলা-চট্টগ্রাম বলে জানা যায়।
ছবি সংগৃহীত
জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত আসামীরা বেশ কিছু দিন ধরে পরস্পর যোগসাজসে মাদকদ্রব্য গাঁজার ব্যবসা করে আসছে। মাদক কারবারীরা মাদক চোরাই পথে পার্শ্ববর্তী সীমান্তবর্তী এলাকা হতে সংগ্রহ করে এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গ্রেফতার এড়াতে প্রতিনিয়ত অভিনব কায়দায় অবলম্বন করে মাদক পরিবহনের কাজে মোটরসাইকেল ব্যবহার করতঃ চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মাদকদ্রব্য বিক্রয় করে আসছিল।
উদ্ধারকৃত মাদকসহ গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারীদ্বয়ের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণার্থে বান্দরবান জেলার সদর থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়েছে।