২০২৫ সালের মধ্যে এইচসিএফসি’র ব্যবহার কমাতে কাজ করছে সরকার : শাহাব উদ্দিন
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৩, ১২:৪৭ রাত
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো: শাহাব উদ্দিন বলেছেন, ওজোন স্তর রক্ষায় ২০২৫ সালের মধ্যে ৬৭ দশমিক ৫ শতাংশ এইচসিএফসি এর ব্যবহার কমাতে কাজ করছে সরকার।
তিনি বলেন, ওজোন স্তর রক্ষায় গৃহীত মন্ট্রিল প্রটোকলের আওতায় এইচসিএফসি এর ব্যবহার কমিয়ে আনা হবে। এইচএফসি এর ফেজ আউটের জন্য এমন সব বিকল্প প্রযুক্তি উৎসাহিত করা হয়েছে যা একইসঙ্গে ওজোন স্তরের রক্ষা ও জলবায়ুবান্ধব হবে। আজ আগারগাঁওয়ের পরিবেশ অধিদফতর অডিটোরিয়াম ভবনে বিশ্ব ওজোন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
সরকার রেফ্রিজারেশন ও এয়ারকন্ডিশনিং পণ্য উৎপাদকের জন্য ট্যাক্স ও ভ্যাট প্রদানের ক্ষেত্রে বিশেষ সুযোগ প্রদান করছে এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, রূপান্তরিত এসিগুলো বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হলে দেশীয় চাহিদা পূরণের পাশাপাশি রপ্তানির সুযোগ বাড়বে।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, মন্ট্রিল প্রটোকল অত্যন্ত সফলভাবে বাস্তবায়নের স্বীকৃতি স্বরূপ ২০১২ ও ২০১৭ সালে জাতিসংঘের পরিবেশ সংস্থা কর্তৃক বাংলাদেশ প্রশংসিত ও পুরস্কৃত হয়েছে। এছাড়া ওজোন স্তর ক্ষয়কারী দ্রব্যের অবৈধ অনুপ্রবেশ ও আমদানি নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ওয়ার্ল্ড কাস্টম অর্গানাইজেশন এবং জাতিসংঘ পরিবেশ এবং ওজোন সেক্রেটারিয়েট কর্তৃক ২০১৯ সালে পরিবেশ অধিদফতরকে পুরস্কৃত করা হয়েছে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সঞ্জয় কুমার ভৌমিক এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, একই মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার ও অতিরিক্ত সচিব ইকবাল আবদুল্লাহ হারুন। সম্মানিত অতিথি ছিলেন ইউএনডিপির কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ স্টিফেন লিইলার।
বক্তারা সারা বিশ্বে ওজোন স্তর ক্ষয়কারী দ্রব্যের ব্যবহার কমিয়ে পৃথিবীকে বাসযোগ্য করে গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। তারা বলেন, মানুষের দৈনন্দিন বিভিন্ন কর্মকান্ডের কারণে ওজোনস্তর ক্ষয়প্রাপ্ত হচ্ছে বলে মানবস্বাস্থ্যসহ প্রকৃতি নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তারা স্ব স্ব ক্ষেত্রে পরিবেশ রক্ষা করার আহবান জানান।বক্তারা বলেন, নতুন প্রজন্মের জন্য নিরাপদ ও বাসযোগ্য পৃথিবী গড়ে তুলতে না পারলে তাদের জীবন হুমকির মুখে পড়বে। ওজোন স্তর সম্পর্কে নতুন প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।
ইকবাল আবদুল্লাহ হারুন বলেন, পরিবেশ রক্ষায় একটি শান্ত পৃথিবী দরকার। অনেক ক্ষেত্রে আমরা পরিবেশের ক্ষতি করছি। নিজের জায়গা থেকে প্রত্যেককে পরিবেশ দূষণের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে। হাবিবুন নাহার বলেন, ওজোন স্তর ক্ষয় পরিবেশের ভারসাম্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। ফলে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে তাপমাত্রার ভারসাম্য ব্যাহত হচ্ছে। পৃথিবীকে রক্ষার জন্য প্রয়োজন সাবধানতার। এ সম্পর্কে সবাইকে সচেতন হতে হবে।
পরে, বিশ্ব ওজোন দিবস উপলক্ষে ক, খ ও গ বিভাগে এবং বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের চিত্রাঙ্কণ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের সনদ ও পুরষ্কার বিতরণ করেন মন্ত্রী। এছাড়া মন্ট্রিল প্রটোকল বাস্তবায়নে নারীদের উৎসাহিত করতে একজন সুবিধাবঞ্চিত নারী টেকনিশিয়ানকে রেফ্রিজারেটর ও এয়ারকন্ডিশনার রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতের জন্য বিশেষ যন্ত্রপাতি প্রদান করেন।