আইসিইউর রোগী ভাগিয়ে নেওয়ার সময় ঢামেকে দালাল আটক করেছে আনসার
প্রকাশিত: অক্টোবর ১২, ২০২৩, ১০:৫৭ রাত
ছবি সংগৃহীত
আইসিইউতে ভর্তি হওয়া প্রয়োজন এমন রোগীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল থেকে ভাগিয়ে নেওয়ার সময় এক দালালকে হাতেনাতে আটক করেছেন দায়িত্বরত আনসার সদস্যরা। বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর ) সন্ধ্যার দিকে ৯৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটক হওয়া দালালের নাম মো. শরীফ (৩০)। পরে তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন আনসার সদস্যরা।
এ বিষয়ে ঢামেক হাসপাতালের আনসারের প্লাটুন কমান্ডার (পিসি) উজ্জ্বল বেপারী বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা গত কয়েকদিন ধরে দালাল চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছি। আজ সন্ধ্যার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানাতে পারি, দালাল চক্রের কয়েকজন সদস্য রোগী ভাগিয়ে নিতে জরুরি বিভাগের ৯৮ নং ওয়ার্ডে অবস্থান করছে। সংবাদ পাওয়ার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি সুমন নামে এক পুরুষ রোগীকে রাজারবাগ বিএনকে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছে এক দালাল। এ সময় দালাল মো. শরীফকে আটক করি। দালাল চক্রটির অন্যতম সহকারী কামরুল। তবে তাকে আটক করা সম্ভব হয়নি। পরে আমরা আটক দালাল শরীফকে ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়ার কাছে সোপর্দ করি।
আরও পড়ুনঃ দেশপ্রেমের মহান ব্রতে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ আইজিপির
আটক হওয়া দালাল শরীফ বলেন, আমি ঢাকা মেডিকেল থেকে রোগী ভাগিয়ে রাজারবাগের বিএনকে হাসপাতালের আইসিইউতে পাঠাই। রোগী প্রতি ১ হাজার টাকা কমিশন পাই। আমার এ কাজে সহযোগিতা করেন দালাল সর্দার হান্নান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের কয়েকজন কর্মচারী বলেন, ঢাকা মেডিকেল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে নিয়ে যায় দালাল চক্ররা। আর এ কাজে সহযোগিতা করেন হাসপাতালেরই কর্মচারীরা। রোগী ভাগিয়ে নেওয়ার কাজে হান্নান গ্রুপ, ইমরান হোসেন ইমন গ্রুপ, ট্যাক্সি কাসেম গ্রুপের নাম উল্লেখযোগ্য। এছাড়া ২১১ নম্বর ওয়ার্ডের কর্মচারী নেতা মনির হোসেন আকন্দ ও মো ইদ্রিস রাজধানীর বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালের এনআইসিইউতে রোগী পাঠিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেন। তারা দুজনেই ২১১ নম্বর ওয়ার্ডের সর্দার স্বপনের নেতৃত্বে কাজ করেন। জরুরি বিভাগের সরকারি কর্মচারী মজনুও একইভাবে রোগী ভাগিয়ে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে পাঠান।
এ বিষয়ে ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া বলেন, দালাল শরীফকে আটক করে ক্যাম্পে দিয়ে আসেন আনসার সদস্যরা। আমরা বিষয়টি শাহবাগ থানাকে জানিয়েছি।