ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বোরো ধান আবাদে বীজতলায় এখন কৃষকদের ব্যস্ততা বেড়েছে

নিউজ ডেস্ক

 প্রকাশিত: জানুয়ারী ২৬, ২০২৪, ০১:০৫ দুপুর  

ছবি সংগৃহীত

জেলায় চলতি মৌসুমে বোরো ধান আবাদে বীজতলায় কর্মব্যস্ত হয়ে পড়ছেন জেলার কৃষকরা। একই সঙ্গে তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশা থেকে বীজতলা রক্ষা করতে কৃষকদেরকে নানা পরামর্শ দিচ্ছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

জানা যায় এবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ৯টি উপজেলায় আগামী বোর মৌসুমে আবাদের লক্ষ্যমাত্র ১ লাখ ১১ হাজার ৬৯৫ হেক্টর জমিতে। তার মধ্যে বীজতলা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫ হাজার ৪৭৮ হেক্টর। লক্ষ্যমাত্রা চেয়ে ৫ হাজার ৫২০ হেক্টর বেশি জমিতে বীজতলার আবাদ হয়েছে ।এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বীজতলা রক্ষা করতে কৃষকদেরকে নানা পরামর্শ দিয়ে আসছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। তারা গ্রামে গ্রামে গিয়ে স্থানীয় কৃষকদের তীব্র শীতের প্রভাব থেকে ফসল রক্ষায় নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে আসছেন।  

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর অফিস সূত্রে জানা গেছে, দেশে এখন তীব্র শীত চলছে। সেই সঙ্গে রয়েছে ঘন কুয়াশাও। ফলে প্রতিদিনের শৈত্য প্রবাহের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মাঠের ফসল রক্ষার জন্য নানান পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন তারা।

সংশ্লিষ্টরা জানার, তীব্র শীত ঘন কুয়াশা হলে বোরো ধানের বীজতলায় ৩-৫ সেন্টিমিটার পানি ধরে রাখতে হবে। ঠান্ডার প্রকোপ থেকে রক্ষা এবং চারার স্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য বীজতলা রাতে স্বচ্ছ পলিথিন দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। বীজতলা থেকে পানি সকালে বের করে দিয়ে আবার নতুন পানি দিতে হবে এবং প্রতিদিন সকালে চারার ওপর জমাকৃত শিশির ঝরিয়ে দিতে হবে। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. মোস্তফিজুর রহমান বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে ঠানা তীব্র শীত পড়েছে। এ অবস্থায় বোরো বীজতলা রক্ষা করতে আমরা মাঠ পর্যায়ে কৃষকদেরকে নানা পরামর্শ দিয়ে আসছি। কৃষকরা যদি আমাদের কথা মতো কাজ করে নেন, তাহলে বীজতলার কোন ক্ষতি হবে না।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কৃষি সম্প্রাসরণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সুশান্ত সাহা বলেন, চলতি মৌসুমে বোরো মৌসুমে উন্নত জাত সম্প্রসারণে জেলার ৯টি উপজেরায় ৬৬ হাজার এক বিঘা করে প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র কৃষকদের মাঝে হাইব্রীড দুই কেজি, উফশি ৫ কেজি, ডিএপি ১০ ও এমওপি ১০কেজি করে বিতরণ করা হয়েছে। পাশাপাশি ধান বীজতলা তৈরি, তীব্র শীত থেকে রক্ষা পেতে এবং ফলন বৃদ্ধিতে কৃষকদেরকে পরামর্শ সার্বিকভাবে সহযোগিতা করা হচ্ছে।