ক্যাপসিকাম চাষে রায়হান এর সফলতা
প্রকাশিত: নভেম্বর ৩০, ২০২৩, ১২:৫০ দুপুর
ছবি সংগৃহীত
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ক্যাপসিকাম চাষ করেছেন কৃষক রায়হান আহম্মেদ। ৫ শতক জমিতে সুইট বিউটি জাতের বীজ রোপণ করে প্রথমবার চাষেই সফলতার দেখা পেয়েছেন তিনি। তার জমিতে প্রায় ৩শত গাছে ক্যাপসিকাম ধরেছে। এক থেকে দেড় ফুট উচ্চতার গাছে গাছে ঝুল খাচ্ছে সবুজ ক্যাপসিকাম। ক্যাপসিকাম চাষের জন্য তিনি প্রথমে একটি গ্রিন হাউস নির্মাণ করেন। গ্রিন হাউসের চারদিকে নেট ও উপরে পথিথিনে মোড়ানো। ভেতরে প্রবেশের জন্য রাখেন এটি দরজা।
জানা গেছে, সেপ্টেম্বর মাসে জমিতে বীজ রোপণ করেন রায়হান। রোপণের ১০ দিন পর বীজ থেকে চারা গজানো শুরু হয়। চারা বেড়ে উঠতে পরিচর্যায় ব্যবহার করেন জৈব সার ও জৈব্য কীটনাশক। নভেম্বরের প্রথম দিক থেকে গাছে ফল আসতে শুরু করে।
উপজেলার আশিদ্রোন ইউপির খলিলপুর গ্রামের বাসিন্দা কৃষক রায়হান আহম্মেদ জানান, বৃষ্টি, তাপমাত্রা, আদ্রর্তা ধরে রাখার জন্য তিনি গ্রিন হাউস পদ্ধতিতে ক্যাপসিকাম চাষ করেছেন। এই পদ্ধতিকে পোকা-মাকড়ের আক্রমণ থেকে খুব সহজে ফসল রক্ষা করা যায়। জমি তৈরি থেকে এ পর্যন্ত তার খরচ হয়েছে ৫ হাজার টাকা। বর্তমানে গাছে প্রায় ৫ শতাধিক ক্যাপসিকাম রয়েছে। চলতি সপ্তাহ থেকে ফসল তোলা শুরু করবেন। প্রতি কেজি বিক্রি হবে ১৫০-২০০ টাকা করে। এতে তার অনেক লাভ হবে। সাফল্য আসবে এ থেকেই।
তিনি আরও জানান,উচ্চফলনশীল হাইব্রিড জাতের সুইট বিউটি ক্যাপসিকামের বীজ সেস্টেম্বর থেকে অক্টোবর পর্যন্ত বপন করা যায়। প্রতিটি ফলের ওজন হয় ১৫০-২০০ গ্রাম। ফল আকর্ষণীয় সবুজ রংয়ের হয়। আর পাকলে লাল বর্ণ ধারণ করে।একর প্রতি ফলন হয় ৭-৮ টন।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মাসুকুর রহমান বলেন, এখানকার মাটি ক্যাপসিকাম চাষের জন্য উপযোগী। ফলন ভালো হয়। এটি একটি লাভজনক ফসল। ব্যাপক পরিসরে চাষ করলে কৃষকরা লাভবান হবেন।