আলোড়ন সৃষ্টিকারী কালো ও বেগুনি জাতের ধানের উদ্ভাবনকারী হাবিবুর
প্রকাশিত: নভেম্বর ১৫, ২০২৩, ০৮:৪১ রাত
মৌলভীবাজারের অতি সাধারণ একজন কৃষক হাবিবুর রহমান। সম্প্রতি নতুন এক জাতের ধান চাষ করে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন এই কৃষক। কালো ও বেগুনি জাতের এ ধানে নতুন সম্ভাবনা দেখছেন ধান গবেষক ও বিশ্লেষকরা। হাবিবুর রহমানের অভিনব চাষাবাদ দেখে অধিক লাভজনক এ ধান চাষাবাদে আগ্রহী হচ্ছেন এলাকার অন্যান্য কৃষকরাও।
জানা যায়, ২০২২ সাল থেকে বিদেশি রঙিন ধান চাষ করছেন সদর উপজেলার গিয়াসনগর এলাকার কৃষক হাবিবুর রহমান। মূলত অনলাইনে ধান বিষয়ক বিভিন্ন বিষয় তাঁকে ধান চাষে আগ্রহ দেয়। হাবিবুর রহমান যখন বিদেশে ছিলেন তখন প্রথমবার তিনি ব্ল্যাক রাইস বা কালো জাতের ধানের ব্যাপারে জানতে পারেন।
বিদেশ থেকে দেশে ফেরার পর কুমিল্লাসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে বীজ সংগ্রহ করে শুরু করেন চাষাবাদ। গত বছর দেশি-বিদেশি ১২ জাতের ধান চাষ করেছিলেন এ কৃষক। এর মধ্যে ইন্দোনেশিয়া, জাপান, ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম ও কোরিয়ান ধান ছিল। সবগুলোতে আশানুরূপ ফলও পেয়েছেন। এতে করে এলাকাসহ গোটা দেশে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। চলতি বছর ভিয়েতনাম, কোরিয়ানসহ দেশি বিদেশি মোট পাঁচ জাতের ধান চাষাবাদ করেছেন উদ্যোমী কৃষক।
কৃষক হাবিবুর রহমান জানান, এই কালো ও বেগুনি জাতের ধান ক্যান্সার, ডায়াবেটিসের মতো রোগে আক্রান্ত মানুষের পক্ষে অত্যন্ত উপকারী। তাছাড়া, এই জাতের ধানে পোকামাকড়ের আক্রমণ কম এবং এই চালের চাহিদা ও মূল্য বেশি হওয়ায় আশাপাশের কৃষকরা আগ্রহী হচ্ছেন।
কালো ও বেগুনি জাতের ধানের চাল প্রতি কেজি ২৫০-৩০০ টাকায় বিক্রি হয়। এ বছর সাত শতক জমিতে এই দুই জাতের রঙিন ধান চাষ করেছেন কৃষক হাবিবুর। তবে ভালো রাইস মিল না থাকায় বাণিজ্যিকভাবে চাষে যেতে পারছেন না বলেও জানান তিনি।
হাবিবুর রহমান একজন অনুসন্ধানী কৃষক। সবসময় নতুন কিছু সৃষ্টি করতে ও নতুন কিছু নিয়ে কাজ করতে পছন্দ করেন এই আগ্রহী কৃষক। ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এর সহযোগিতা পেলে নতুন নতুন জাতের ধানের চাষাবাদ করতে পারবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন এই কৃষকরা।