গোপালগঞ্জ জেলায় গম আবাদে প্রণোদনা পাচ্ছেন ৩ হাজার কৃষক
প্রকাশিত: অক্টোবর ০৬, ২০২৩, ০৭:২৩ বিকাল
ছবি সংগৃহীত
গোপালগঞ্জে গমে বিনামূল্যে প্রণোদনার সার-বীজ পাচ্ছেন ৩ হাজার কৃষক।
২০২৩-২৪ অর্থ বছরে আসন্ন রবি মৌসুমে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় জেলার ৫ উপজেলার ৩ হাজার কৃষক সার-বীজ পাবেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ খামারবাড়ির উপ-পরিচালক আ. কাদের সরদার এ তথ্য জানিয়েছেন।
ওই কর্মকর্তা বলেন, গম আবাদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় ৭৫০ জন কৃষক, মুকসুদপুর উপজেলায় ৮০০ জন কৃষক, কাশিয়ানী উপজেলায় ৬০০ জন কৃষক, কোটালীপাড়া উপজেলায় ৪৫০ জন কৃষক ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় ৪০০ জন কৃষক প্রণোদনা পাবেন।
প্রত্যেক কৃষককে এক বিঘা করে (৩৩ শতাংশ) জমি আবাদের জন্য ২০ কেজি করে গম বীজ, ১০ কেজি ডিএপি সার ও ১০ কেজি করে এমওপি সার বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে। সেজন্য ৬০ হাজার কেজি বীজ, ৩০ হাজার কেজি ডিএপি সার ও ৩০ হাজার কেজি এমওপি সার বরাদ্দ পাওয়া গেছে। গত ৩০ সেপ্টেম্বর বরাদ্দের চিঠি এসছে বলে ওই কর্মকর্তা জানান। তিনি বলেন, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় ১৫ হাজার কেজি বীজ, ৭ হাজার ৫০০ কেজি ডিএপি সার ও ৭ হাজার ৫০০ কেজি এমওপি সার বিতরণ করা হবে। মুকসুদপুর উপজেলায় ১৬ হাজার কেজি বীজ, ৮ হাজার কেজি ডিএপি সার ও ৮ হাজার কেজি এমওপি সার বরাদ্দ পাওয়া গেছে। কাশিয়ানী উপজেলায় ১২ হাজার কেজি বীজ , ৬ হাজার কেজি ডিএপি সার ও ৬ হাজার কেজি এমওপি সার বিতরণ করা হবে। কোটালীপাড়া উপজেলায় ৯ হাজার কেজি গম বীজ, ৪ হাজার ৫০০ কেজি ডিএপি সার ও ৪ হাজার ৫০০ কেজি এমওপি সারের সহায়তা পাচ্ছেন কৃষক। টুঙ্গিপাড়ায় ৮ হাজার কেজি বীজ, ৪ হাজার কেজি ডিএপি সার ও ৪ হাজার কেজি এমওপি সার পাবেন কৃষক ।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ খামারবাড়ির অতিরিক্ত উপ-রিচালক সঞ্জয় কুন্ডু বলেন, প্রণোদনার সার-বীজ পেয়ে কৃষক ৩ হাজার বিঘা জমিতে গমের আবাদ করবেন। ৩ হাজার বিঘা জমিতে গমের আবাদ করে কৃষক গমের উৎপাদন বৃদ্ধি করবেন। এর মাধ্যমে দেশে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।