যশোরে কৃষি প্রণোদনা পেয়ে ফসল উৎপাদনে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের
প্রকাশিত: অক্টোবর ০৫, ২০২৩, ০৭:১৪ বিকাল
ছবি সংগৃহীত
যশোরে কৃষি প্রণোদনা পেয়ে ফসল উৎপাদনে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের।
গত বছরের চেয়ে এবছর ১৭ হাজার বেশি কৃষককে কৃষি প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে।চলতি ২০২৩-২০২৪ রবি মওসুমে ৪৪হাজার ২৭০ জন কৃষক প্রণোদনা পাবেন।এ বছরের খরিপ মওসুমে জেলার ৮উপজেলায় ২৩হাজার কৃষক আউশ চাষের জন্য প্রণোদনা পেয়েছেন। বিনামূল্যে পাওয়া প্রণোদনার বীজ ও সার কৃষি পণ্যের উৎপাদন ও উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে বলে কৃষি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
যশোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ বছরের খরিপ মওসুমে জেলার ৮উপজেলায় ২৩হাজার কৃষক আউশ চাষের জন্য প্রণোদনা পেয়েছিলেন।প্রণোদনা হিসেবে প্রতি কৃষক ৫ কেজি আউশ ধানের বীজ এবং ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার পেয়েছিলেন।এছাড়া ২০২৩-২০২৪ রবি মওসুমে ৪৪হাজার ২৭০ জন কৃষক প্রণোদনা পাবেন।প্রণোদনার জন্য তালিকাভূক্ত গম চাষীরা ২০ কেজি গম বীজ, ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার,ভূট্টা চাষীরা ২ কেজি বীজ, ১০ কেজি ডিএপি ও ৫ কেজি এমওপি সার,সরিষা চাষীরা ১ কেজি বীজ, ১০ কেজি ডিএপি ও ৫ কেজি এমওপি সার,পেঁয়াজ চাষীরা ১ কেজি বীজ, ১০ কেজি ডিএপি ও ৫ কেজি এমওপি সার,মসুর চাষীরা ১ কেজি বীজ, ১০ কেজি ডিএপি ও ৫ কেজি এমওপি সার,মুগ চাষীরা ৫ কেজি বীজ, ৫ কেজি ডিএপি ও ৫ কেজি এমওপি সার,চীনাবাদাম চাষীরা ১০ কেজি বীজ, ৫ কেজি ডিএপি ও ৫ কেজি এমওপি সার এবং সূর্য্যমূখী চাষীরা ১কেজি বীজ, ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার পাবেন।
যশোর সদর বাঘারপাড়া উপজেলার প্রনোদণার তালিকাভূক্ত চাষীরা জানান,সরকার প্রণোদনা দেয়ায় বিভিন্ন ফসল উৎপাদনের জন্য বীজ ও সার তাদের কেনা লাগছে না।এতে তারা বেশি বেশি ফসল উৎপাদনে উৎসাহিত হচ্ছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর যশোরের উপ-পরিচালক মঞ্জুরুল হক বলেন,কৃষি প্রণোদনা পেয়ে এ জেলার কৃষকরা ধানসহ বিভিন্ন ফসল উৎপাদনে আরো বেশি উৎসাহিত হচ্ছেন।প্রণোদনা পাওয়ায় প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকদের উৎপাদন খরচ কমছে।
অপরদিকে বাড়ছে খাদ্যশস্যসহ বিভিন্ন প্রকার ফসলের উৎপাদন।সরকারের এই উদ্যোগকে কৃষকরা স্বাগত জানিয়েছেন বলে জানান তিনি ।